চট্টগ্রাম, ৭ সেপ্টেম্বর : ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সুন্নি ও কওমি অনুসারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১৮০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে উত্তেজনা শুরু হলেও গভীর রাতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হাটহাজারীতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন জানান, শনিবার রাত ১০টা থেকে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুস ফটিকছড়ির পথে হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আরিয়ান ইব্রাহিম নামের এক যুবক মাদ্রাসার দিকে আঙুল তুলে অশোভন অঙ্গভঙ্গি করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জুলুস শেষে ফেরার পথে সুন্নীপন্থিদের বেশ কয়েকটি বাসে কওমি মতাদর্শের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর সুন্নিপন্থীরাও পাল্টা হামলা করে। উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দারুল উলুম মাদরাসার শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক অবরোধ করে দিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে প্রায় ১৫০ জনকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর আহত ২০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে—আবু তাহের (১৬) ও হাসান মারুফ (১৭)।
হাটহাজারী ইউএনও মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন জানান, মসজিদ ও মাদ্রাসা অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত যুবক আরিয়ান ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এদিকে, পরিস্থিতি বিবেচনায় হাটহাজারী মাদ্রাসার রোববারের পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan